ঢাকা ০২:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতের দাপটে স্থবির মৌলভীবাজার জনজীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:২৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪ ৯৮ বার পড়া হয়েছে
 কুয়াশা আর শীতের কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন মৌলভীবাজার জেলার খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ গত কয়েকদিন ধরে জেলাজুড়ে চলছে শীতের দাপট। তাপমাত্রার পারদ যত কমছে, ততই শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ সঙ্গে হিম বাতাস ও ঘন কুয়াশা থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
জেলার প্রত্যেকটা গ্রাম ও চা বাগান-পাহাড়গুলোতে হাঁড় কাপানো শীতে একেবারে চরম দুর্ভোগের আবর্তে পড়েছে জনজীবন। মৌলভীবাজার জেলা কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ায় রিকশা, ব্যাটারি চালিত টমটম, সিএনজি চালকসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
ঘন কুয়াশা ও শীতের দাপটে জনজীবনে দুর্ভোগের পাশাপাশি কর্মহীন হয়ে পড়েছেন মৌলভীবাজারের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষগুলো। জরুরি প্রয়োজন ও অফিসগামী মানুষ ছাড়া বাইরে তেমন মানুষের আনাগোনা নেই। জেলার প্রধান সড়কে ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ির লাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে যান চলাচল করছে।
মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ইং, সকাল ৯টার সময় শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। পাহাড় আর হাওর বেষ্টিত মৌলভীবাজারে কনকনে শীতে কাবু চা বাগান ও হাওর পাড়ের বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগে ফেলেছে।
গেল কয়েকদিন থেকে সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও সূর্যের দেখা মিলছে কম। চলমান কনকনে এ ঠান্ডায় বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ। বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাইও। আবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্যের তেজ বাড়লে কিছুটা স্বস্তি মেলে। তবে রাতের বেলা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুদের। যতই দিন যাচ্ছে জেলার তাপমাত্রার পারদ ততই নিচের দিকে নামছে। ফলে হাড় কাঁপানো শীতে জবুথুবু হয়ে পড়েছেন মানুষজন।
কুয়াশা, প্রচণ্ড ঠান্ডা ও মৃদু বাতাসে গরম কাপড়ের অভাবে হাওর পাড়ের মৎস্যজীবী, চা শ্রমিক, নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, তীব্র শীতে শীতকালীন ডায়রিয়া, ঠান্ডা কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই জেলা ৭ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ও বৃদ্ধরা এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার পর্যবেক্ষক মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ইং, সকাল ৯টার সময় শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এখানে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাপমাত্রা কম থাকলেও মৌলভীবাজারের সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলেছে। ঝলমলে রোদ উষ্ণতা ছড়িয়েছে। তবে তাপমাত্রা নিচে নামার কারণে চলতি সপ্তাহ থেকে শীত পুরোপুরি শুরু হয়েছে জেলায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতের দাপটে স্থবির মৌলভীবাজার জনজীবন

আপডেট সময় : ১১:২৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪
 কুয়াশা আর শীতের কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন মৌলভীবাজার জেলার খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ গত কয়েকদিন ধরে জেলাজুড়ে চলছে শীতের দাপট। তাপমাত্রার পারদ যত কমছে, ততই শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এ সঙ্গে হিম বাতাস ও ঘন কুয়াশা থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন।
জেলার প্রত্যেকটা গ্রাম ও চা বাগান-পাহাড়গুলোতে হাঁড় কাপানো শীতে একেবারে চরম দুর্ভোগের আবর্তে পড়েছে জনজীবন। মৌলভীবাজার জেলা কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ায় রিকশা, ব্যাটারি চালিত টমটম, সিএনজি চালকসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।
ঘন কুয়াশা ও শীতের দাপটে জনজীবনে দুর্ভোগের পাশাপাশি কর্মহীন হয়ে পড়েছেন মৌলভীবাজারের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষগুলো। জরুরি প্রয়োজন ও অফিসগামী মানুষ ছাড়া বাইরে তেমন মানুষের আনাগোনা নেই। জেলার প্রধান সড়কে ঘন কুয়াশার কারণে গাড়ির লাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে যান চলাচল করছে।
মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ইং, সকাল ৯টার সময় শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। পাহাড় আর হাওর বেষ্টিত মৌলভীবাজারে কনকনে শীতে কাবু চা বাগান ও হাওর পাড়ের বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগে ফেলেছে।
গেল কয়েকদিন থেকে সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও সূর্যের দেখা মিলছে কম। চলমান কনকনে এ ঠান্ডায় বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ। বাড়ছে শীতজনিত রোগবালাইও। আবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সূর্যের তেজ বাড়লে কিছুটা স্বস্তি মেলে। তবে রাতের বেলা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বৃদ্ধ ও শিশুদের। যতই দিন যাচ্ছে জেলার তাপমাত্রার পারদ ততই নিচের দিকে নামছে। ফলে হাড় কাঁপানো শীতে জবুথুবু হয়ে পড়েছেন মানুষজন।
কুয়াশা, প্রচণ্ড ঠান্ডা ও মৃদু বাতাসে গরম কাপড়ের অভাবে হাওর পাড়ের মৎস্যজীবী, চা শ্রমিক, নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, তীব্র শীতে শীতকালীন ডায়রিয়া, ঠান্ডা কাশি ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই জেলা ৭ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ও বৃদ্ধরা এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার পর্যবেক্ষক মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার ১৬ জানুয়ারি ২০২৪ইং, সকাল ৯টার সময় শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এখানে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তাপমাত্রা কম থাকলেও মৌলভীবাজারের সকাল থেকে সূর্যের দেখা মিলেছে। ঝলমলে রোদ উষ্ণতা ছড়িয়েছে। তবে তাপমাত্রা নিচে নামার কারণে চলতি সপ্তাহ থেকে শীত পুরোপুরি শুরু হয়েছে জেলায়।