ঢাকা ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মরণে খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরের প্রদীপ প্রজ্জ্বলন সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রত্যাখ্যানের আহবান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫২:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ৯৯ বার পড়া হয়েছে
সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রত্যাখ্যান এবং নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগিয়ে তুলতে সঠিক ইতিহাসের চর্চার দাবি করেছে খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগর। শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মরণে খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগর আয়োজিত প্রদীপ প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি থেকে এই দাবি জানানো হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় নগরীর বৌদ্ধ মন্দিরস্থ খেলাঘর কার্যালয় প্রাঙ্গণে (ডি.সি. হিলের সামনে) শহীদদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। এর আগে সকালে চট্টগ্রামের অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।
খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি নাট্যজন মুনির হেলাল’র সভাপতিত্বে ও সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য প্রীতম দাশ’র সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খেলাঘর কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রকৌশলী রথীন সেন, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক রোজী সেন, চন্দন পাল, খেলাঘর মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি দেবাশীষ রায়, মহিউদ্দিন শাহ, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ বসু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য প্রার্থ প্রতীম নাহা, জয়ন্ত রাহা, সদস্য অমিত হোড়, নিউটন দত্ত, প্রবাল চৌধুরী মানু, পদ্মকুঁড়ি খেলাঘর আসরের সভাপতি সঞ্জীব ভট্টচার্য, উষার আলো খেলাঘর আসরের সভাপতি অধ্যাপক জোবেদা খানম, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল উদ্দিন, নীলাম্বরী খেলাঘর আসরের সভাপতি আবু হাসনাত চৌধুরী, জুঁই খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক লিটন শীল, জলসিঁড়ি খেলাঘর আসরের আহ্বায়ক দীপঙ্কর রুদ্র, স্বর্ণালী খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বাবু, কপোতমালা খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী মুন্না, সঞ্জয় দেবনাথ, রশ্মি দাশ, বিউটি রাহা, স্নেহেন্দু বণিক প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের প্রাক্কালে ১০ ডিসেম্বর থেকে আত্মসমর্পণের মুহূর্ত পর্যন্ত হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর আলবদর-আলশামস বাহিনী দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী, লেখক, শিল্পী, সাংবাদিকসহ নানা পেশাজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। কেবল ৭১’র ডিসেম্বর নয় বরং মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে ৯ মাস দেশের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের শেষ মুহুর্তে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী তাদের পরাজয় আসন্ন ভেবে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে চূড়ান্ত আঘাত হানে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন স্থানে সব বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী হত্যার বিচার আজো হয়নি। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকাও অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগের যথাযথ মর্যাদাদান ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে এই তালিকা পূর্ণাঙ্গ করা প্রয়োজন।
গণতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, সমাজতন্ত্র- এই চারটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, প্রকৃত চেতনা। স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদের আদর্শ আজো অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মরণে খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরের প্রদীপ প্রজ্জ্বলন সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রত্যাখ্যানের আহবান

আপডেট সময় : ০৬:৫২:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩
সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রত্যাখ্যান এবং নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগিয়ে তুলতে সঠিক ইতিহাসের চর্চার দাবি করেছে খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগর। শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মরণে খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগর আয়োজিত প্রদীপ প্রজ্জ্বলন কর্মসূচি থেকে এই দাবি জানানো হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় নগরীর বৌদ্ধ মন্দিরস্থ খেলাঘর কার্যালয় প্রাঙ্গণে (ডি.সি. হিলের সামনে) শহীদদের স্মরণে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। এর আগে সকালে চট্টগ্রামের অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।
খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি নাট্যজন মুনির হেলাল’র সভাপতিত্বে ও সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য প্রীতম দাশ’র সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন খেলাঘর কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রকৌশলী রথীন সেন, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক রোজী সেন, চন্দন পাল, খেলাঘর মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি দেবাশীষ রায়, মহিউদ্দিন শাহ, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ বসু, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য প্রার্থ প্রতীম নাহা, জয়ন্ত রাহা, সদস্য অমিত হোড়, নিউটন দত্ত, প্রবাল চৌধুরী মানু, পদ্মকুঁড়ি খেলাঘর আসরের সভাপতি সঞ্জীব ভট্টচার্য, উষার আলো খেলাঘর আসরের সভাপতি অধ্যাপক জোবেদা খানম, সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল উদ্দিন, নীলাম্বরী খেলাঘর আসরের সভাপতি আবু হাসনাত চৌধুরী, জুঁই খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক লিটন শীল, জলসিঁড়ি খেলাঘর আসরের আহ্বায়ক দীপঙ্কর রুদ্র, স্বর্ণালী খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বাবু, কপোতমালা খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী মুন্না, সঞ্জয় দেবনাথ, রশ্মি দাশ, বিউটি রাহা, স্নেহেন্দু বণিক প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের প্রাক্কালে ১০ ডিসেম্বর থেকে আত্মসমর্পণের মুহূর্ত পর্যন্ত হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর আলবদর-আলশামস বাহিনী দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী, লেখক, শিল্পী, সাংবাদিকসহ নানা পেশাজীবীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। কেবল ৭১’র ডিসেম্বর নয় বরং মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে ৯ মাস দেশের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসররা বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের শেষ মুহুর্তে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী তাদের পরাজয় আসন্ন ভেবে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে চূড়ান্ত আঘাত হানে। কিন্তু দেশের বিভিন্ন স্থানে সব বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবী হত্যার বিচার আজো হয়নি। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকাও অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের ত্যাগের যথাযথ মর্যাদাদান ও তাদের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে এই তালিকা পূর্ণাঙ্গ করা প্রয়োজন।
গণতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, সমাজতন্ত্র- এই চারটি ছিল মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, প্রকৃত চেতনা। স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদের আদর্শ আজো অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।