ঢাকা ০৭:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শ্রীমঙ্গলে শহরে মুন হোটেলে খুনের রহস্য উদঘাটন, হোটেলে অজ্ঞাত অর্ধগলিত মৃতদেহর পরিচয় মিলেছে

মোঃ জালাল উদ্দিন,
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮১ বার পড়া হয়েছে
 মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরের নতুন বাজার এলাকায় আবাসিক মুন হোটেল থেকে উদ্ধার করা অজ্ঞাত মৃত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে খুনের সাথে জড়িত মূল আসামিকেও গ্রেপ্তার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।
বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং, দুপুরে শ্রীমঙ্গল থানায় প্রেস ব্রিফিং করে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল অফিসার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গত ৪ ডিসেম্বর রাতে শ্রীমঙ্গল নতুন বাজার হোটেল মুন থেকে অর্ধগলিত অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা মৃত ব্যক্তির নাম মোঃ ইন্তাজ মীর (৫২)। পেশায় অটোরিকাসা চালক। সে কমলগঞ্জ উপজেলার কালেঙ্গা গ্রামের মৃত ইনু মীরের ছেলে।
পুলিশ আরও জানায়, গত ৩০ নভেম্বর হোটেল মুন এর ২০২ নাম্বার রুমটিতে মৌলভীবাজারের বর্ষিজোড়া এলাকার সুজন নামের এক ব্যক্তি ভাড়া নেয়। পরে খুনের রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে ২০২ নং রুমে অবস্থান করা সুজন নামের ব্যক্তির খোঁজে মাঠে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে গতকাল ৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্থাগঞ্জ থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তার করা সুজন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে পেশায় একজন বাবুর্চি। ইন্তাজ মীরের অটোরিকসাটি ছিনিয়ে নিতে হোটেলে ডেকে আনে তাকে। পরে রাতে কোন এক সময় তাকে গলা টিপে হত্য করে লাশ ২০৩ নং রুমের খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।
আরও পুলিশ জানায়, সুজনের অবস্থান করা ২০২ নং রুম থেকে নিহত ইন্তাজ মীরের ব্যবহৃত কিছু জামা কাপড় ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও ইন্তাজের অটোরিকসাটি শ্রীমঙ্গলের আশিদ্রোণ ইউনিয়ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংকালে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আমিনুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) তাপশ চন্দ্র রায়সহ শ্রীমঙ্গল থানার অন্যান্য অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, হোটেল রুম থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত ও মূল আসামিকে ২৪ ঘনাটার ভিতর আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, অজ্ঞাতনামা লাশ হওয়ায় শ্রীমঙ্গল থানার এসআই কামরুল ইসলাম গ্রেফতারকৃত সুজন মিয়াসহ অজ্ঞাত ২/১ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জেলা পুলিশ সুপার সার্বিক দিকদির্দেশনায় শ্রীমঙ্গল থানার একটি দল এই খুনের রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে। আমরা হোটেলের রেজিস্টার পর্যালোচনা, আমাদের সোর্স এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় খুনের ঘটনায় জড়িত আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মৌলভীবাজার জেলা বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

শ্রীমঙ্গলে শহরে মুন হোটেলে খুনের রহস্য উদঘাটন, হোটেলে অজ্ঞাত অর্ধগলিত মৃতদেহর পরিচয় মিলেছে

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩
 মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল শহরের নতুন বাজার এলাকায় আবাসিক মুন হোটেল থেকে উদ্ধার করা অজ্ঞাত মৃত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ। ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে খুনের সাথে জড়িত মূল আসামিকেও গ্রেপ্তার করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।
বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ইং, দুপুরে শ্রীমঙ্গল থানায় প্রেস ব্রিফিং করে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সার্কেল অফিসার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, গত ৪ ডিসেম্বর রাতে শ্রীমঙ্গল নতুন বাজার হোটেল মুন থেকে অর্ধগলিত অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা মৃত ব্যক্তির নাম মোঃ ইন্তাজ মীর (৫২)। পেশায় অটোরিকাসা চালক। সে কমলগঞ্জ উপজেলার কালেঙ্গা গ্রামের মৃত ইনু মীরের ছেলে।
পুলিশ আরও জানায়, গত ৩০ নভেম্বর হোটেল মুন এর ২০২ নাম্বার রুমটিতে মৌলভীবাজারের বর্ষিজোড়া এলাকার সুজন নামের এক ব্যক্তি ভাড়া নেয়। পরে খুনের রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে ২০২ নং রুমে অবস্থান করা সুজন নামের ব্যক্তির খোঁজে মাঠে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে গতকাল ৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্থাগঞ্জ থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তার করা সুজন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে পেশায় একজন বাবুর্চি। ইন্তাজ মীরের অটোরিকসাটি ছিনিয়ে নিতে হোটেলে ডেকে আনে তাকে। পরে রাতে কোন এক সময় তাকে গলা টিপে হত্য করে লাশ ২০৩ নং রুমের খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।
আরও পুলিশ জানায়, সুজনের অবস্থান করা ২০২ নং রুম থেকে নিহত ইন্তাজ মীরের ব্যবহৃত কিছু জামা কাপড় ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও ইন্তাজের অটোরিকসাটি শ্রীমঙ্গলের আশিদ্রোণ ইউনিয়ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংকালে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আমিনুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) তাপশ চন্দ্র রায়সহ শ্রীমঙ্গল থানার অন্যান্য অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, হোটেল রুম থেকে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত ও মূল আসামিকে ২৪ ঘনাটার ভিতর আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, অজ্ঞাতনামা লাশ হওয়ায় শ্রীমঙ্গল থানার এসআই কামরুল ইসলাম গ্রেফতারকৃত সুজন মিয়াসহ অজ্ঞাত ২/১ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। জেলা পুলিশ সুপার সার্বিক দিকদির্দেশনায় শ্রীমঙ্গল থানার একটি দল এই খুনের রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করে। আমরা হোটেলের রেজিস্টার পর্যালোচনা, আমাদের সোর্স এবং তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় খুনের ঘটনায় জড়িত আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মৌলভীবাজার জেলা বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।