কচুরিপানায় বন্ধ খরস্রোতা খাল, পানির সংকটে আড়াইলাখ মানুষ
- আপডেট সময় : ১২:০২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ৪৩ বার পড়া হয়েছে
বরগুনার আমতলী উপজেলায় সুবন্ধি নামের একটি খালে দীর্ঘ এক দশক ধরে জমে আছে কচুরিপানা। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি খাল নাকি একটি সবুজের গালিচা। এক সময় খালটির পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক থাকলেও বর্তমানে কচুরিপানায় তা বন্ধ হয়ে নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দুই পাড়ের বাসিন্দারা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আমতলী উপজেলার সুবন্ধি খালের কচুরিপানা অপসারণ করতে একটি প্রকল্প হাতে নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে ওই প্রকল্পটিতে পরিকল্পনা কমিশনের আপত্তি থাকায় তা আর বাস্তবায়ন করা হয়নি। ফলে দিনদিন ওই খালটিতে কচুরিপানার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোগান্তির চরমে পৌঁছেছে খালটির দুই পাড়ের দুটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের।
বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ও হলদিয়া এ দুটি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সুবন্ধি নামক খালটির দুই পাড়ে অন্তত ২০টি গ্রামের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ বসবাস করেন। এসব বাসিন্দাদের পানির চাহিদা পূরণে খালটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও কচুরিপানার কারণে তা বন্ধ হয়ে গেছে। পানি দূষিত হওয়ার ফলে বিভিন্ন গবাদিপশুর গোসল করানোসহ দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার করা যাচ্ছে না এ খালটির পানি। এ ছাড়াও আটকে থাকা কচুরিপানায় দূষিত হওয়া পানির কারণে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে হরহামেশাই আক্রান্ত হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
মোঃ শহিদুল নামের হলদিয়া এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, প্রায় ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে খালের মধ্যে কচুরিপানা জমে আছে। এ খালে যারা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন তারা মাছ ধরতে পারছেন না। আবার অনেকের গরু-ছাগল আছে কিন্তু কচুরিপানার কারণে খালের পানিতে গোসল করাতেও পারছেন না। তবে যাদের টিউবওয়েল আছে তারা সে পানিতেই গোসলসহ সব কাজ করতে পারছেন। কিন্তু যাদের টিউবওয়েল নেই তাদের অনেক সময় বাধ্য হয়ে খালের দূষিত পানিই ব্যবহার করতে হয়। এলাকাবাসীর এমন দুর্ভোগের কথা চিন্তা করেও এখন পর্যন্ত কেউ খালটির কচুরিপানা পরিষ্কারকারের কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয়নি বলেও জানান তিনি