ঢাকা ০৯:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় বাড়ী ফেরার পথে গতিরোধ করে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৩৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪ ৫০ বার পড়া হয়েছে
মোঃ সবুজ মিয়া, বগুড়া: বগুড়া সদরের দশটিকা গ্রামের ১টি ঝোপের পাশ থেকে তাজবীর হোসেন (১৬) নামের এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত তাজবীর বগুড়া সদরের দশটিকা দক্ষিনপাড়া গ্রামের তাজুল ইসলামের পুত্র। সে পেশায় ওয়ার্কশপ দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
তাজবীর এর পিতা তাজুল ইসলাম বলেন, তার পুত্র তাজবীর হোসেন একই এলাকার রফিকুল ইসলামের লেদ ওয়ার্কশপের কাজ করতো। সে প্রতিদিন কাজে গিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ী ফিরতো। অন্যান্য দিনের ন্যায় সোমবার সকালেও কাজে যায়। প্রতিদিন সে সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল কাজে গিয়ে যথা সময়ে সে আর বাড়ী ফেরেনি৷ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে তাজবীর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে তালাশ করেও তার সন্ধান পায়নি।
পরের দিন মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে দশটিকা গ্রামের একটি কবরস্থানের পাশে পরে থাকা রক্তাক্ত মরহেদ তাজবীরের আত্মীয় স্বজনেরা দেখে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে সদর থানার (এসআই) সামিনুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স, ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত তাজবীরের মরদেহ উদ্ধার করে সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরী করেন। এসময় পুলিশ নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পায়। মরদেহ উদ্ধারের সময় গ্রামের হাজার হাজার নারী-পুরুষের ভিড় জমে। নিহত তাজবীরের বাহন বাইসাইকেল পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে রাতে রাস্তায় দুর্বৃত্তরা গতিরোধ করে উল্লেখ স্থানে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে ফেলে যায়।
লেদ মালিক রফিকুল ইসলাম জানায়, প্রতিদিনের মত সোমবার সন্ধ্যার আগে কাজ শেষ করে তাজবীর বাড়ীর উদ্দেশ্যে বের হয়। রাত প্রায় ১ টার পর তাজবীরের মা মোবাইল ফোনে জানান, তাজবীর এখনো বাড়ী যায়নি। তাজবীর ২ বছর ধরে লেদে কাজ করছে। সে অনেক ভালো ও শান্ত ছেলে। তার সাথে এমন কারো শত্রুতা থাকতে পারে না। কিন্তু কেনো কি কারণে এমন একজন ভালো ছেলেকে  দুর্বৃত্তরা নৃশংস ভাবে হত্যা করলো? এটা মানতেই পারছি না।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্সপেক্টর শাহীনুজ্জামান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডের কোন কারণ পাওয়া যায়নি। হত্যার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশ  কাজ করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বগুড়ায় বাড়ী ফেরার পথে গতিরোধ করে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা

আপডেট সময় : ১০:৩৭:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
মোঃ সবুজ মিয়া, বগুড়া: বগুড়া সদরের দশটিকা গ্রামের ১টি ঝোপের পাশ থেকে তাজবীর হোসেন (১৬) নামের এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নিহত তাজবীর বগুড়া সদরের দশটিকা দক্ষিনপাড়া গ্রামের তাজুল ইসলামের পুত্র। সে পেশায় ওয়ার্কশপ দোকানের কর্মচারী ছিলেন।
তাজবীর এর পিতা তাজুল ইসলাম বলেন, তার পুত্র তাজবীর হোসেন একই এলাকার রফিকুল ইসলামের লেদ ওয়ার্কশপের কাজ করতো। সে প্রতিদিন কাজে গিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ী ফিরতো। অন্যান্য দিনের ন্যায় সোমবার সকালেও কাজে যায়। প্রতিদিন সে সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল কাজে গিয়ে যথা সময়ে সে আর বাড়ী ফেরেনি৷ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। রাতে তাজবীর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে তালাশ করেও তার সন্ধান পায়নি।
পরের দিন মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে দশটিকা গ্রামের একটি কবরস্থানের পাশে পরে থাকা রক্তাক্ত মরহেদ তাজবীরের আত্মীয় স্বজনেরা দেখে শনাক্ত করেন। খবর পেয়ে সদর থানার (এসআই) সামিনুল ইসলামসহ সঙ্গীয় ফোর্স, ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত তাজবীরের মরদেহ উদ্ধার করে সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরী করেন। এসময় পুলিশ নিহতের শরীরের বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পায়। মরদেহ উদ্ধারের সময় গ্রামের হাজার হাজার নারী-পুরুষের ভিড় জমে। নিহত তাজবীরের বাহন বাইসাইকেল পাওয়া যায়নি। ধারনা করা হচ্ছে রাতে রাস্তায় দুর্বৃত্তরা গতিরোধ করে উল্লেখ স্থানে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে ফেলে যায়।
লেদ মালিক রফিকুল ইসলাম জানায়, প্রতিদিনের মত সোমবার সন্ধ্যার আগে কাজ শেষ করে তাজবীর বাড়ীর উদ্দেশ্যে বের হয়। রাত প্রায় ১ টার পর তাজবীরের মা মোবাইল ফোনে জানান, তাজবীর এখনো বাড়ী যায়নি। তাজবীর ২ বছর ধরে লেদে কাজ করছে। সে অনেক ভালো ও শান্ত ছেলে। তার সাথে এমন কারো শত্রুতা থাকতে পারে না। কিন্তু কেনো কি কারণে এমন একজন ভালো ছেলেকে  দুর্বৃত্তরা নৃশংস ভাবে হত্যা করলো? এটা মানতেই পারছি না।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্সপেক্টর শাহীনুজ্জামান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডের কোন কারণ পাওয়া যায়নি। হত্যার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশ  কাজ করছে।